नलचम्पू: (प्रथमोच्छवास:)
आर्याबर्तबर्णनम्
|
ভাবসম্প্রসারণঃ (প্রতিটি প্রশ্নের মান-৪)
১/ सतीब्रतापदेषा:
सूर्यद्युतय इब कुलस्त्रियः।
উত্তরঃ আর্যাবর্তে সবকিছু সুন্দর, মনোরম, সেখানে তুরঙ্গসজ্জিত
যুদ্ধক্ষেত্রের ন্যায় গ্রাম, চরণ ভূষণ নূপুরের ন্যায় মুখর নগর, তারুণ্যদীপ্ত
বনরাজি, ইক্ষুক্ষেত সমন্বিত দানসত্র এবং জলপূর্ণ গভীর কূপ।
এমন সুন্দর
গ্রাম ও নগর পরিবেশে সেখানকার নারী পুরুষ স্ব স্ব মযাদায় আসীন। ভারতীয় নারীরা
পবিত্রতা ও সতীব্রতা। রামায়ণ-মহাভারতের যুগ এবং তৎপূর্ববর্তী যুগ থেকেই ভারতীয়
নারীরা পবিত্রতার আদর্শে মহীয়সী। তারা জীবনের বিনিময়েও সতীত্ব বিসর্জন দেয় না। পবিত্রতাকে
তারা দেবতাঞ্জানে পূজা করে। স্বামীর কল্যানেই তাদের এক মাত্র লক্ষ্য। পবিত্রতা সীতা,
সতী, সাবিত্রী, দময়ন্তী, বেহুলা প্রভৃতির ন্যায় অসংখ্য পতিব্রতা রমণী স্বামীর
কল্যাণকে ব্রত মনে করে জীবনের সকল সুখ-দুঃখ স্বীকার করে নিয়েছেন। ভারতবর্ষের
অলংকারস্বরূপ আর্যাবর্ত দেশ। সেখানে কুলস্ত্রীরা সূর্যের দ্যুতির ন্যায় নিষ্কলঙ্ক
এবং সতীব্রতা হওয়ায় তারা সকল দোষ থেকে মুক্ত।
২/ भीम इब
भारतालंभूत.......आर्याबर्तो नाम देशः।
উত্তরঃ মহাভারতের ভীম অন্যতম শ্রেষ্ঠ বীর। অযুত হাতীর সমান তার
শারীরিক শক্তি। গদাযুদ্ধে তার জুড়ি পাওয়া ভার। বাল্যকাল থেকেই তিনি ছিলেন কৌরব ও
পাণ্ডবদের মধ্যে সর্বাধিক শক্তিধর। কুরুক্ষেত্রের জুদ্ধে তিনি একাই দুর্যধনাদি একশ
ভাইকে হত্যা করেন। দ্রৌপদীর মযাদা রক্ষায় এবং বিভিন্ন বিপদের সময়ে ভীম যে শক্তি ও
সাহসের পরিচয় দিয়েছেন, তা অন্য কারো মধ্যে দেখা যায় না। তাই ভীমকে যথার্থরুপেই
মহাভারতের অলংকার আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
অনুরূপভাবে,
আর্যাবর্তকে ভারতের অলংকার বলা যেতে পারে। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও প্রাকৃতিক
সম্পদ, প্রজাদের নীরোগ ও শতায়ু হয়ে জীবন উপভোগ, বেদ ও ধর্মীয় শাস্ত্র মেনে চলা এবং
চাতুর্বর্ণ্য ব্যবস্থা বজায় রাখার ফলে আর্যাবর্তের জনগণের মধ্যে কোনো পতন বা
রোগ-ব্যাধির উপদ্রব দেখা যায় না। এখানে প্রজাগণ তাই পরম সুখে-শান্তিতে বাস করে।
অলংকার মানুষের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তেমনই মহাভারতের সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে
মহাবীর ভীম এক শোভাবর্ধনকারী অলংকার। একই রূপে আর্যাবর্ত ভারতের স্বাভাবিক
শোভাবর্ধনকারী একখানি রত্নময় অলংকার।
৩/ देशः पुण्यतमोद्देसः
कस्यासौ न प्रियो भबेत ।
युक्तो नुक्रोशसम्पन्नैर्यो
जनैरिव योजनैः ।।
উত্তরঃ ভগীরথের কীর্তিপতাকা গঙ্গার পুণ্যসলিলে স্নাত
পবিত্রভূমি—আর্যাবর্ত। এই দেশ যেমন প্রাকৃতিক সম্পদে ঋদ্ধ, তেমনই সামাজিক শৃঙ্খলা,
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং জনগণের নিরাপত্তার দিক থেকে আদর্শ। এখানে ধর্ম-কর্ম উপদেশের
দ্বারাই মানুষের রোগ ব্যাধি দূরীভূত হয়; ভূত-প্রেত, চোর-তস্করের কোন উপদ্রব এখানে
নেই। এখানকার বাড়ীতে বাড়ীতে গৌরবর্ণা রমণী আছে। মানুষ অর্থ-সম্পদে সমৃদ্ধ,
ঘোড়াগুলো শ্রীযুক্ত, পদে পদে ধন বিতরণকারী প্রজাপালক রাজা বিদ্যমান। এখানে কোন
রাজা মদ্যপ কিম্বা বিলাস-ব্যাসনে আসক্ত নয়, পক্ষান্তরে কোন প্রজাও রাজদ্রোহী নয়।
তাই গঙ্গা-বিধৌত এই দেশ পুণ্যতম এবং এখানকার জনগণও দয়া পরবশ। অতি মনোরম, স্বর্গের
থেকেও বিশিষ্টতর যোজন–বিস্তৃত এই দেশ তাই সকলের প্রিয়।
**********
to be continued...
0 comments:
Post a Comment